শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আয়োজন করা হয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনগঞ্জের পৌর মেয়র অ্যাড. লতিফুর রহমান রতন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন। এসময় তিনি সংবিধান ও আইন সংরক্ষণ করার শপথ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার অঙ্গীকার করেন।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন: আমি সংবিধান ও আইন সংরক্ষণ করব। রাগ-অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে সবার প্রতি সমান আচরণ করব একজন বিচারককে এই শপথ নিতে হয়। একজন বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হওয়া পর্যন্ত চারবার শপথ নিতে হয়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত চারবার শপথ নিয়েছি। কখনো শপথের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হইনি-ভবিষ্যতেও হব না। শপথ থেকে বিচ্যুত না হওয়াই একজন বিচারকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রধান বিচারপতি বলেন: রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ হলো—নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। তার ওপরে সংবিধান। ওই তিনটি অঙ্গের ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। তিন অঙ্গের একটি যদি খারাপ হয় তাহলে রাষ্ট্র ভালোভাবে চলতে পারে না।
স্বাধীনতার আগে ছোটবেলায় নিজের এলাকার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন: ছোটবেলায় কত ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছি। এখন কত উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন হতো না যদি দেশ স্বাধীন না হতো। যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে না যেতেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন :নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবীর, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আমিরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.শামছুর রহমান লিটন বক্তব্য দেন।
এ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন : সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মশিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশি গ্রামে। তাঁর ছোট ভাই নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান। তাঁর বাবা প্রয়াত ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল হাসান প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply