একদিকে ঘনঘন লোডশেডিং অপরদিকে দ্বিগুণ তিনগুণ বিলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহক। অনেক এলাকাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকে না।দিনের পর দিন চলছে বিদ্যুৎ অফিসের এই অরাজকতা।
এতে জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক বিল বাড়ানোর অভিযোগ নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজেদের মতো করে গ্রাহককে বোঝাচ্ছেন।এতে বুঝলে ভালো না বুঝলে তাদের কিছু করার নেই বলে বিদায় করে দিচ্ছেন।এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রাহকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আলী ওসমান নামে এক গ্রহক বলেন: ২ বছর হয়েছে পল্লী বিদুৎ সংযোগ পেয়েছি। পরিবারের দুজন সদস্য একটি ১৫ ওয়াটের এলইডি লাইট ও একটি ছোট খাচা ফ্যান ব্যবহার করি। ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকে। পূর্বে বিল আসতো ১০০ টাকার মতো। গত মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৯২০ টাকা। বিল না দিলে সংযোগ কেটে মোকদ্দমায় জড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়। অফিসে বেশ কয়েকবার গিয়েও এর সমাধান হয়নি।
নাম প্রককাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন: ৬ মাস যাবৎ মেইন সুইচ বন্ধ,এর পরও বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে দেড়শ টাকার অধিক।অপর এক গ্রাহক বলেন: পূর্বে ৫ হাজার টাকা বিল আসতো। রানিং মাসে ৬৪৮৮৪ টাকা বিল এসেছে। অফিসে গিয়ে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে,প্রতিদিন ৮/১০ জন গ্রাহক এসব ভূতুরে বিল নিয়ে অফিস মুখি হয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
ভূতুরে বিল পরিশোধ করতে কেউ জমি বন্ধক দিচ্ছেন আবার কেউবা বিক্রয় করছেন। এক সরকারি কর্মচারী বলেন: বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় বিল পরিশোধ করার পর ছেলে-মেয়ের স্কুলের বেতন এবং হাট-বাজার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
Leave a Reply