রবিবার মধ্যরাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আকস্মিকভাবে রাতে ঝড়,বৃষ্টি ও তুফান হয়েছে রাত ২:৫০ মিনিট থেকে এই ঝড় তুফানের তান্ডব শুরু হয়ে চলে প্রায় ৩০ মিনিটের মত।
অনেকেই বলেন: হটাৎ করেই মধ্যরাতে প্রবল বেগে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর হয় কাল বৈশাখী ঝড়ের ন্যায় ঝড় তুফান। তবে ৩:৩০ মিনিটের পর এই ঝড় তুফান থেমে গেলেও ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে কলমাকান্দার বিভিন্ন এলাকাবাসী।
তীব্র গরম ও লোড শেডিং উপেক্ষা করে অনেকেই মধ্যরাত পর্যন্ত ঘুমাতে পারেনি। তার মধ্যে হটাৎ মধ্যরাতের দিকে শুরু হয়ে যায় এই তান্ডব লীলা।অনেকের ঘড় বাড়ি তুফানে উড়িয়ে নিয়ে যায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।
কলমাকান্দার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বাড়িঘড়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় সাথে প্রচুর পরিমাণ গাছ গাছালি উপড়ে পড়ে যায়,বৈদ্যতিক খুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,দেখা যায় এক জায়গার গাছ আরেক জায়গায়, এক ঘড়ের জিনিস পত্র এমনকি টিনের চাল আরেক টিনের চালের উপরে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে : হটাৎ করে এভাবে ঝড় তুফান চলে আসায় তাদের কোনো রকম প্রস্তুতি ছিলোনা। প্রায় সকলেই ছিলো তখন ঘুমের ঘোরে।আকস্মিকভাবে ঝড় তুফান চলে আসায় গাছগাছালী সহ কলমাকান্দার বিভিন্ন এলাকার ঘড় বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান অনেকেই।
এছাড়াও ঝড়ের কবলে পড়ে সোনাডুবি হাওরে অনিল দাস নামের একজন নিখোঁজ হওয়ারো খবর পাওয়া যায় এবং বানবিলে আব্দুল কুদ্দুস নামে আরেকজন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিখোঁজ অনিল দাস উপজেলার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে ও নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) পোগলা ইউনিয়নের বেখুরিকান্দা শুনই গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে।
স্থানীয়দের মতে: এ ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়। কয়েকশ গাছ উপড়ে পড়ে। কিছু গাছ ভেঙে বাড়িঘরের ওপরে পড়লে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একই সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের বেশ কিছু তারের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে। এরপর থেকে উপজেলা বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি (আজ) সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন : ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পুর্ণরূপে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলমান।
Leave a Reply