বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

বারহাট্রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রাস্তাটি যেন ভরাট কোন খাল দুর্ভোগে শত শত রোগী

ডেইলি নেত্র নিউজ ডেক্স :
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
  • ৮৯ পঠিত

নেত্রকোণার বারহাট্টা প্রেসক্লাব মোড় থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৮ মিটার। তবে এটি আর এখন রাস্তা বলে মনে হয় না।

হাসপাতালকে কেন্দ্র করে রাস্তাটির দুইপাশে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা নিজ নিজ জায়গায় উঁচু করে ভবন নির্মাণ করেছেন। সে তুলনায় রাস্তার অবস্থান অনেক নিচে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় ভরাট কোন খাল।

সড়কের একটি অংশে বড় গর্ত, সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে। আর জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করছে মশা। সলিংয়ের উঁচু-নিচু ইটের খোয়া ‘যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।

রাস্তাটির ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী। কিন্তু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর এই সড়কের উন্নয়ন বা সংস্কার হয়নি। এককালে দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও এখন কোনো চিহ্ন নেই। প্রচন্ড ঝাঁকুনির কারণে যে কোন যানবাহনে চড়ে আসা রোগীদের কষ্টের সীমা নেই।

এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে : বারহাট্টা উপজেলা সদর-সাহতা সড়কের প্রেসক্লাব মোড় থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত সড়ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব জায়গা। ১৯৮৪-৮৫ অর্থ বছরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সময় সড়কটিতে ইটের সলিং ও দুইপাশে আরসিসি খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়। আর চলতি বছর এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।

স্থানীয় এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধীকারী মো. লুৎফুর রহমান খান বলেন: হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তার বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। মাঝে মাঝে স্থানীয়রা বালু দিয়ে সড়কের গর্ত ভরাট করলেও এতে তেমন কাজ হয় না।

রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী সাবেক ডিএডি মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর উদ্দিন বলেন: হাসপাতালের এই সড়কের কারণে জটিল রোগীদের অবস্থা আরো খারাপ হতে শোনা যায়। গেইটের সামনের অংশ খুবই বিপজ্জনক। রোগী নিয়ে আসা যানবাহন এসে বিপদে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় তারা কোনরকমে উদ্ধার পায়। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে রোগী-ব্যবসায়ী সকলেই দুর্ভোগে আছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গড়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। রাস্তার  দুরাবস্থার কারণে তাদের খুবই কষ্ট হয়। জটিল রোগীদের বেশী সমস্যা পোহাতে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অমিত চন্দ্র দে বলেন: রাস্তাটির কোড নম্বর না থাকায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যাচ্ছে না। আশা করি ঈদের পরপরই এ সংক্রান্ত একটি ফাইল অনুমোদন হবে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News