বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোনায় নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি: নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ

নুসরাত জাহান ইমা
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ১৩৭ পঠিত

প্রতিটি বাজারে জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনের ওপর চাপ পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) নেত্রকোনা শহরের মাছুয়া বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খুচরা বাজারদরের তালিকা পর্যালোচনা করে দাম বাড়ার এই চিত্র দেখা গেছে।

সামনে নেই কোনো বিশেষ দিন তার পরও কেন দফায় দফায় বাজারে ‘আগুন’ লেগেছে। বেড়েছে মসলার দামও। দাম বেড়েছে করলা, লাউ, ধুন্দুল, বরবটিসহ আরও অনেক সবজির। ফলে সবজি কেনা এখন সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য।

এদিকে বেড়েছে চিনি ও পেঁয়াজের দামও। কয়েকদিন আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া খোলা চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। আর হঠাৎ করেই পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

এ সপ্তাহে সবজির বাজারে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আছে পেঁপে, লাউ, করলা, উস্তা, কচুর লতি, বরবটি, ধুন্দুল, সজনে ডাঁটা এবং কাঁকরোল। আর অন্যান্য সব সবজির দাম কিছুটা আগের মতোই আছে।

প্রতিকেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ১ কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৩৫-৪০ টাকা। প্রতিকেজি লতি, করলা, উস্তা, চিচিঙ্গা, বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা।

কম দামি সবজির মধ্যে প্রতিকেজি পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস কাঁচা ৪০ এবং পাকাটা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আলু প্রতিকেজি ৩৫-৪০ টাকায়। লেবু হালি ৩৫-৪০ টাকা। আর সব ধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

ঈদুল আজহা আসতে এখনও অনেক দেরি। কিন্তু তার আগে মসলার দাম বেড়ে গেছে দিগুন। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা।

বর্তমানে দেশি নতুন রসুনের দাম কেজিপ্রতি ১৭০-১৯০ টাকা, যা এক মাস আগেও ছিল মাত্র ৮০ থেকে ১২০ টাকা। সে হিসেবে রসুন কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায় এবং চায়না বা আমদানি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

প্রতিকেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১০০০ টাকায়। শুকনা মরিচ ইন্ডিয়ান প্রতিকেজি ৪২০ টাকা এবং দেশি শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ৩৭০ টাকা। হলুদ গুঁড়া কেজি ৩৫০ টাকা, গুঁড়া মরিচ কেজি ৫৫০ টাকা, ধনিয়া প্রতিকেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ও ডালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আটাশ চাল ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৭২, গুটি স্বর্ণা চাল ৫০, নাজির শাইল ৮০ টাকা, পাইজাম চাল ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল দেশি প্রতিকেজি ১৪০-১৫৫ টাকা এবং আমদানি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অ্যাঙ্কর ডাল প্রতিকেজি ৮০ টাকা। মুগ ডাল প্রতিকেজি ১৪০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রতিকেজি ব্রয়লার ২৪০ টাকা, লাল মুরগি প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা, বড় সাইজের সোনালি এবং কক প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। দেশি পাতি হাঁস প্রতিটি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি হাড়সহ ৭৩০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি খাসির মাংসের দাম এখন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আধাকেজি ওজনের বেশি ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এক কেজি বা তার ওপর ওজনের ইলিশের দর ১৬০০ টাকা। এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। কাতল মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কাচকি মাছ ৪৫০-৫০০ টাকায়, ট্যাংরা ৬০০-৭০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। সিলভার কাপ ২০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে বাজার ভেদে ৪৫০ টাকা। কার্প মাছের কেজি ২৫০ থেকে বাজারভেদে ৩০০ টাকা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News