১৪ মে-২০২৩ খ্রিঃ আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে আমি প্রথমেই কামণা করি, ভালো থাকুক ও সুস্থ থাকুক পৃথিবীর সকল মা,আর না ঝরুক কোন মায়ের চোখের পানি। মায়ের সন্তানেরা থাকুক দুধে ভাতে ও সুখে শান্তিতে।
স্বামী স্ত্রী একত্রে সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সহজসাধ্য হলেও নিগৃহীতা বিধবা বঞ্চিতা মা তার সন্তানকে মানুষ করতে যে যুদ্ধ করতে হয় ও যে অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হতে হয় তা ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আপনি ক্ষমতায় এসে নারী অধিকার বাস্তবায়নে যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন,তা আন্তর্জাতিক ভাবে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে অনাদিকাল।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বিধবা ভাতা,বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, পৈত্রিক সম্পত্তিতে মেয়েদের মানসম্মত অধিকার প্রধানসহ নারী নির্যাতন – যৌতুক প্রথা বাল্য বিবাহ ধর্ষণ কারীর সবোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর -নারী পাচাররোধ রাস্তাঘাটে নারীকে উত্যক্ত করা রওধ- শিক্ষা ভাতা, উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ। আপনার সুদৃষ্টির কারণে নারীরা আজ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। আপনি মানবতার মা হিসাবে সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে মেয়েরা মহান আল্লাহর নিকট হাত তুলে আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, এতো কিছু করার পরও দেশের শতকরা ৬০ ভাগ মা আজ নির্যাতিত তাদের ছেলে মেয়ে পুত্রবধু জামাতার হাতে।অথচ নিগৃহীতা বিধবা লাঞ্চিতা মা নিজের সকল চাওয়া পাওয়া স্বপ্ন আহলাদ বিসর্জন দিয়ে ছেলে মেয়েকে মানুষ করলো। একদিন সন্তান মানুষ হলো, চাকুরী পেলো কিন্তু বিনিময়ে চির দুঃখিনী মা পেলো হতাশা,কান্না আর চোখের পানি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, আপনি একজন মা হিসাবে আমাদের নিম্নলিখিত দাবি গুলোকে আপনার সহৃদয় মাতৃত্বের মন দিয়ে অনুভব করে এদেশের নিগৃহীতা বিধবা লাঞ্চিতা সকল অসহায় মায়েরা পাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার। সরকারি আধা সরকারি ডিফেন্স, প্রশাসনিক ও যেসব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে কোয়ার্টার,রেশন, স্বাস্হ্য সেবা দেওয়া হয়, বিয়ের পর ফলে মায়েরা বঞ্চিতই থেকে যায়।
….দাবিগুলো হলো…
১/ সন্তানের চাকুরীর পর পরই কোয়ার্টার বরাদ্দ করা।
২/ শতভাগ রেশন ভাতা
৩/ শতভাগ চিকিৎসা সেবা প্রদান।
অর্থাৎ নিগৃহীতা – বঞ্চিতা মা যেন কিছু পায়। বিয়ের পরেই যদি সব বরাদ্দ হয় তবে তো বউ- জামাতা সব সুখের অধিকার পেলো, অসহায় মা কি পেলো? আর কোন নির্যাতিতা মা বৃদ্ধাশ্রমে যেতে বাধ্য না হয়। এই হোক জাতীয় মা দিবসের সার্বিক অঙ্গীকার।
এতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, সন্তানের জন্য মায়েদের সারা জীবনের যুদ্ধ ও সংগ্রামকে সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক সন্তানের বিয়ের পর পর সন্তানের সংসারে অসহায় মাকে সামান্য সময়ের জন্য হলেও সংসারী হওয়ার দাবি পূরণে স্বার্থক মায়ের স্বীকৃতি প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মহোদয়ের মর্জি হয়।
নিবেদিকা
আমিরুন্নাহার খানম জবা
নির্বাহী পরিচালক
পরিত্যাক্তা লাঞ্চিতার শক্তি পলাশ
ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ
সভাপতি
বারহাট্টা উপজেলা শাখা
Leave a Reply