শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি মহাসড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটারেই বেলাহ দশা-দুর্ভোগ চরমে

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১২২ পঠিত

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।

এই ভোগান্তি এক দিনের নয়:বছরের পর বছর প্রধান এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই লাখো মানুষ জেলা শহর-বিভাগসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে।এই ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের খানাখন্দ-কাদা ও যানজট।ভেজা ও অতিবোঝাই বালু পরিবহনে সড়ক নষ্ট হয়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত।

এতে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকছে।
অন্যদিকে এইসব বালুর গাড়ি থেকে চুঁইয়ে পড়া পানিতে সবসময়ই সড়কটি কাদাপানিতে একাকার থাকে।ফলে সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।এ সড়ক দিয়ে যেমন যেতে হয় জেলাশহর ও বিভাগীয় শহরে অপরপথে আসতে হয় উপজেলা সদর,অফিস-আদালতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

তাছাড়াও সোমেশ্বরী নদী,সাদামাটির পাহাড় ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে সারাবছরই বেড়াতে আসেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদেরও।

দুর্গাপুর উপজেলার ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কেরই বেহাল দশা। খানাখন্দ আর কোথাও কোথাও প্রায় দুই ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তে জমেছে পানি। আর পুরো সড়কজুড়ে কাদা আর কাদা। যেন পা ফেলাই দায়। ওই সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহনসহ মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে।

এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় সড়ক সংস্কারের অংশ হিসেবে ২৪শ মিটার পৃথক পৃথক স্থানে আরসিসি সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়কের কিছু স্থানে এক পাশের কাজ শেষ হলেও ফেলে রাখা হয়েছে অন্যপাশের অংশটি। এতে সড়কের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ সময়ের যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ: ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করায় সড়কের বারোটা বেজে গেছে। সর্বদাই কাদায় ডুবে থাকছে এবং দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকে। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন বলেন: ওই সড়কে বালুর ট্রাক চলাচলে রাস্তা টিকিয়ে রাখায় মুশকিল হয়ে পড়েছে। মানুষের কষ্ট তো থাকছেই। সড়কের পৃথক পৃথক স্থানে মোট ২৪শ মিটার আরসিসি’র কাজ চলমান রয়েছে।

আরও বলেন : সড়কের এক পাশের কাজ শেষ করে ২৮দিন পর অপর পাশের কাজ ধরতে হচ্ছে। এ সড়কে অনেক গাড়ি চলাচল রয়েছে তাই সড়ক বন্ধ রেখে কাজ করা যায় না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News