নেত্রকোনা পৌরসভার ৪৩ নং হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাগানের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলা এবং ফুল গাছ বিনষ্ট করায় জনমনে প্রশ্ন সরকারি স্কুলের স্থাপনার সাথে এ কেমন শত্রুতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়: নেত্রকোনা পৌরসভার অত্যন্ত অবহেলিত এলাকা হোসেনপুর ও নাগড়া পশ্চিম (আনন্দ বাজার) এলাকার কোমলমতি শিশু কিশোরদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী ১৯৭২ সালে হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে তোলেন।
পরবর্তীতে সেটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষিকাসহ ৭ জন শিক্ষিকা ও ১ জন শিক্ষকসহ মোট ৮ জন শিক্ষক রয়েছে। বর্তমান সরকার সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশীরভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের পাশাপাশি নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিলেও রহস্যজনক কারণে অধ্যাবদি হোসেনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়নি।
যার কারণে বিদ্যালয়টি সর্বদা অরক্ষিত থাকায় মাদক সেবীরা রাতের বেলায় সেখানে নিয়মিত মাদক সেবনসহ নানা ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। স্কুলের দরজা জানালা বিনষ্ট করাসহ গ্রিল ভেঙ্গে ফেলছে। কয়েকদিন পর পর ঘটছে চুরি সহ নানা অপকর্ম।
বর্তমান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি স্ব-উদ্যোগে বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য বিদ্যালয়ের সামনে ফুল গাছ লাগানোর পাশাপাশি দেয়াল নির্মাণ করে। কিন্তু কে বা কারা রাতের আধাঁরে স্কুলের বাগানের দেয়াল ভেঙে ফেলে ফুলের বাগান বিনষ্ট করেছে। ম্যানেজিং কমিটি পূনরায় ভাঙ্গা দেয়াল নির্মাণ করলেও অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পূনরায় সেই দেয়াল গুড়িয়ে দিয়েছে।
এসব দৃশ্য দেখে সচেতন জনগনের প্রশ্ন সরকারি স্কুলের বাগানের দেয়ালের সাথে এ কেমন শত্রুতা! এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা স্কুল টাইমে আসি এবং ছুটির পর চলে যাই। কে বা কারা এই ধরণের অপকর্মগুলো করছে আমরা কিভাবে বলবো?
এ ব্যাপারে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বাবু সাথে কথা বললে তিনি বলেন: আমাদের স্কুলের নিরাপত্তা দেওয়াল এবং নৈশ প্রহরী না থাকার কারণে বিভিন্ন সময় নানা ধরণের অঘটন ঘটছে।
বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য অল্প কিছুদিন আগে স্কুলে স্থায়ীভাবে বাগান করলাম কিন্তু কয়েকদিন পর পরই কে বা কারা যেন এই বাগানের মজবুত ওয়াল ভেঙে ফেলে,এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আমরা চাই স্কুলের সুন্দর একটা পরিবেশ। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply