নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্বামীকে সহযোগীতা করতে গিয়ে ধান ভাঙ্গানোর মেশিনের ফিতায় চুল আটকে খোদেজা আক্তার (৪৮) গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(২ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত খোদেজা আক্তার উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে মাইজকান্দি গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়: শনিবার সকালে লাল মিয়া ধান ভাঙাতে একই গ্রামের বকুল মেম্বারের ধান ভাঙ্গানোর মেশিনে ধান নিয়ে যায়। স্বামীকে সহযোগীতা করার জন্য স্ত্রীও পেছনে পেছনে যায় ধান ভাঙ্গানোর শেষ পর্যায়ে মেশিনের নিচ থেকে লাল মিয়ার স্ত্রী খোদেজা ধানের কুড়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
এসময় তাঁর চুলের সঙ্গে ধান ভাঙানো মেশিনের ফিতা আটকে গিয়ে সে মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে তাঁর স্বামীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী তাঁকে জরুরি অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান জয় বলেন : মাথার খুলির উপরের অংশ প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় খোদেজা আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত খোদেজার স্বামী লাল মিয়া জানান: শনিবার সকালে ৩মণ ধান একই গ্রামের বকুল মেম্বারের ধান ভাঙ্গানোর মেশিনে ভাঙ্গাতে নিয়ে যাই। আমাকে সহযোগীতা করতে স্ত্রীও আমার পেছনে আসেন। ধান ভাঙ্গানোর শেষ পর্যায়ে মেশিনের নিচ থেকে ধানের কুড়া সরিয়ে আনার চেষ্টা করেন আমার স্ত্রী। এসময় অসতর্কতার কারণে চলন্ত মেশিনের ফিতায় মাথার চুল আটকে খুলির উপরের অংশ ছুটে যায়। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, কারো প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র।
স্থানীয় নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট সারোয়ার জাহান বলেন: মেশিনের ফিতায় চুল আটকে মাইজকান্দি গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রীর করুণ মৃত্যু হয়েছে যা খুবই মর্মান্তিক ও দু:খজনক।
কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক দেবাশীষ চন্দ্র দাস মেশিনের ফিতায় চুল আটকে গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন: এব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাশ এখনও থানায় আছে।কোন অভিযোগ না পেলে থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হবে।
Leave a Reply