শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কাশিয়ানীতে ফেন্সিডিলসহ তিন নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কাশিয়ানীতে শুরু হচ্ছে ৪ দিনব্যাপী এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মদনে যৌথ অভিযানে দেশীয় অস্ত্র-ইবাসহ মাদক কারবারি আটক  নেত্রকোনা পৌরসভার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার-মির্জা সায়েম মাহমুদ নেত্রকোনায় নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসক এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা নেত্রকোনার নতুন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের যোগদান নেত্রকোনার পৌর সাবেক মেয়রের ০৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন দৈনিক ফলাফল পত্রিকার উপ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন শাহবাজ জামান

নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার (কাজী) লাইলেন্সের নিয়ম লঙ্ঘন

আইরিন আলিফ নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৮ পঠিত

কাজী মাওলানা মো. এনামূল হক আকন্দ তিনি নেত্রকোনা মদন উপজেলার হাসান আলী দাখিল মাদরাসার শিক্ষক (সহ-সুপার) এবং জেলার পাশর্বতী উপজেলা আটপাড়ার দুওজ ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টার (কাজী) ও একই উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজীর দায়িত্ব পালন করছেন।

মাদরাসার একজন শিক্ষক হিসেবে বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ তিনি উত্তোলন করেন। সেসাথে বিয়ে ও তালাক কার্য সম্পাদন করে সেখান থেকে পান নিজের কমিশন।

নিকাহ রেজিষ্ট্রারের লাইসেন্সে প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কর্ম এলাকায় অবস্থানের নিয়ম থাকা সত্বেও তার কর্মক্ষেত্র দুটি ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত। এতে করে দুই ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশীরা নিকাহ ও তালাক নিবন্ধনে যথাসময়ে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অধিকাংশ বিয়ে দিনের দুপুর বেলায় সম্পন্ন হয়। এসময় মাদরাসা ফাঁকি দিয়ে বিয়ে পড়ান কাজী। সরকারি বেতন ভোগ করেও তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে রাষ্ট্রের সাথে এক ধরণের প্রতারনার সামিল বলে জানান এলাকাবাসী।

সরেজমিনে তেলিগাতী বাজারে তার চেম্বারে গেলে কাজী মো. এনামূল হকেকে পওয়া যায়নি। ফোনে বিয়ে পড়ানোর প্রলোভন দেখালে তিনি দুপুরের মধ্যে মাদরাসা থেকে তার চেম্বারে ছুঁটে আসেন। গত এক মাসের বিবাহ নিবন্ধনের তালিকা চাইলে তা দিতে অসম্মতি পোষন করেন।

এবিষয়ে তেলিগাতি ইউপির টেঙ্গা গ্রামের মো. ইব্রাহিম ফকির জানান, কাজী সাহেব মদনের হাসান আলী দাখিল মাদরাসায় চাকুরিরত অবস্থায় আছেন। এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায় চাকুরি করায় বিবাহ নিবন্ধন করাতে এলাকার জনগণ অসুবিধার মধ্যে আছে। সপ্তাহে পাঁচদিন মাদরাসায় থাকেন বিধায় অন্য লোকের নিকট বালাম (বিবাহ রেজিষ্টার বই) দিয়ে রেজিষ্ট্রি করান।

এতে এলাকায় সেবা প্রত্যাশী ও এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কাজী মাওলানা মো. এনামূল হক আকন্দ জানান, মাদরাসার সুপারকে ম্যানেজ করে এলাকায় এসে বিবাহ নিবন্ধন করি। দুওজ ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব ছাড়াও তেলিগাতী ইউপির অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। মাদরাসায় উপস্থিতির ক্ষেত্রে ফাঁকি দেই না। মাদরাসা সুপাররকে ম্যানেজ করে বিবাহ নিবন্ধন কার্য সম্পাদন করি। অন্য কাউকে দিয়ে বিবাহ নিবন্ধন করানো হয় না।

হাসান আলী দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমার এখানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডিউটি করে। ডিউটিকালীন সময়ে সাব-কাজী বানিয়ে রেখেছে ওরাই বিয়ে নিবন্ধন করে। এক থানা থেকে আরেক থানায় একসাথে দুই কাজ করতে পারে না।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা রেজিষ্ট্রার আব্দুল খালেক বলেন, কাজী সাহেবের নাম এবং কোন উপজেলা ও ইউনিয়নের তা আমাকে মেসেজ করে পাঠান। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News