টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহীদুল ‘হত্যাকান্ড’ নিয়ে রোববার বিকেলে প্রেসব্রিফিং করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ-জিএমপি।
এ ঘটনায় রোববার পর্যন্ত দুই শ্রমিক নেতাসহ মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম (৩৫) ও একই সংগঠনের কর্মী রাসেল মন্ডল (৩২) এবং স্থানীয় গুটিয়া এলাকার হানিফ (৫০)।
প্রেসব্রিফিংয়ে জিএমপি দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাহবুব উজ-জামান জানান, আলোচিত প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড কারখানায় ঈদের আগে মে মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিলো।
তবে সেখানে অস্থিতিশীল ঘটনার উদ্ভব হওয়ার মত কোনো পরিস্থিতি ছিলো না। ঘটনার দিন ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম বকেয়া পাওনা আদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যে সংগঠনের নেতা মোস্তফা, শরীফ ও আক্কাসকে নিয়ে কারখানার সামনে যান।
তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে ফেরার পথে কারখানার কাছে প্রতিপক্ষ অপর একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। উপর্যপুরি কিল ঘুষি লাথিতে শহীদুল আহত হলে হাসপালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা কেরেন।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুলসহ ৬ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করা হয়।
তাদের মধ্যে তিন আসামীকেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মামলার ৩ নম্বর আসামী শ্রমিকনেতা রাসেলকে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধলা নামাপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মামলার প্রধান আসাসী বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটির ছয় নম্বর আসামী হানিফকে রোববার রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তিন আসামীর কেউ এঘটনার দায় স্বীকার করেননি বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। প্রেসব্রিফিংয়ে শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের এএসপি মোশারফ হোসেন, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলমসহ জিএমপি দক্ষিণ বিভাগের অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মামলাটি বর্তমানে শিল্প পুলিশ তদন্ত করছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মামলাটির তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা শিল্প পুলিশের এএসপি মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা
Leave a Reply