শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

কেন্দুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রি ও কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ   

আসাদুল করিম মামুন কেন্দুয়া প্রতিনিধি :
  • আপডেট : রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
  • ৮৪ পঠিত

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল কবির খানের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রি ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এসব ঘটনায় সম্প্রতি উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের চংনোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জামাল মিয়া এবং ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম খান জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর পৃথকভাবে লিখিত এ অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় চিথোলিয়া গ্রামের বাবুল ঠাকুর ও আবুল মিয়া নামে দুজন শ্রমিকও এমন অভিযোগ করেন।

জামাল মিয়া তার লিখিত অভিযোগের উল্লেখ করেন: চিরাং ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের ভিতরে সরকারি ৩০/৩৫টি আকাশী গাছ গত ১ মাস পূর্বে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। পরবর্তীতে বিনা অনুমতিতে গাছগুলো বিক্রি করে দেন। বিক্রিত গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল কবির খান আত্মসাৎ করেছেন।

অপর অভিযোগে আব্দুল রহিম খান উল্লেখ করেন, চিরাং ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্হানে ৪০ দিনের কর্মসূচির নামে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে গোপনীয় ভাবে সংশ্লিষ্ট অফিসে শ্রমিকদের তালিকা দাখিল করেন । উক্ত শ্রমিকদের নামে মোবাইল সিম উঠিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবির খান।

৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দাখিলকৃত তালিকায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা কোনদিন রাস্তায় কাজ করতে কেউ দেখে নাই বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তবে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন তদন্ত করছেন।

কথা হলে মো. রাজিব হোসেন বলেন: অভিযোগটির তদন্ত এখনও চলছে। এরইমধ্যে অভিযোগকারী বাবুল ঠাকুর ও আবুল মিয়া তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে লিখিত দিয়েছেন। তবে ছিলিমপুর গ্রামের আব্দুর রহিম খানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খান জানান, পরিষদের ৪টি গাছের ২৪টি টুম নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রকাশ্যে নিলাম ডাকের মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি পরিষদের কোষাগারে জমা করা হয়েছে এবং কর্মসৃজন প্রকল্প নিয়ে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা। একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয় ও হয়রানি করতেই এসব মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে।

এ নিয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। ছুটি শেষে অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News