বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোনায় অটো রাইস মিলের বর্জ্য পানিতে মিশে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে জনজীবন

ডেইলি নেত্র নিউজ ডেক্স :
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ২০৩ পঠিত

নেত্রকোনা সদর উপজেলা ৪নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ফরিদপুর হরিয়াকালি নেত্রকোনা টু আমলতা রাস্তার পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে কালিদাস ও ভুইঁয়া অটো রাইস মিল। এ মিলের বর্জ্য, কালো ধোয়া, ছাইয়ে ও শব্দ দূষণ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ : কালিদাস ও ভুইঁয়া অটো রাইস মিলের বর্জ্য, ছাই, ধোয়া ও শব্দ দূষণে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। যার ফলে মারাত্মক শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা। শিশুরা ও শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। মিলের উড়ে যাওয়া ছাই ও বর্জ্যের কারণে কোমলমতি শিশুসহ সাধারণ মানুষ চোখের সমস্যাতেও ভুগছেন এছাড়াও কালিদাস বাবুর মিলের মেশিনটি মেইন রাস্তার পাশে থাকার কারনে মেশিনের বিকট আওয়াজে হচ্ছে শব্দ দূষণ মাঝে মাঝেই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় : মিলের ছাই ও বর্জ্যের ড্রেন দেওয়া হয়েছে আমাদের মহিষখালি খালে,ফলে নষ্ট হচ্ছে খালের পানি,ফলে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে রুই, মৃগেল,বোয়াল,ষোল, পুটি,টেংরা, কৈ, শিং, মাগুরসহ দেশীপ্রজাতির অসংখ্য মাছ পানি দূষিত হওয়ার কারনে এই খালে এখন কোন মাছ দেখা পাওয়া যায় না।

এলাকাবসী বলেন : আগে আমারা খালের পানিতে গোসল করতাম, গ্রীষ্মকালের গরমে ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল থেকে এসে খালের পানিতে সাঁতার কাঠতো মনের আনন্দে গোসল করাতো, গরু – বাচুর গোসলসহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে পানি ব্যহার করতাম পানিটা এতো পরিষ্কার থাকতো যে অনেকেই রান্নাবান্নার কাজসহ খাওয়ার জন্য ব্যবহার করত।

বর্তমানে বর্জ্যে ময়লার কারনে পানির রং ও কালো হয়ে গেছে খাওয়া, রান্নবান্না,গোসল করা তো দূরের কথা পানিতে নামতেই ভয় পায় গ্রামবাসী, কারান পানিতে হাত-পা ভিজলেই শুরু হয় চুলকানি ফুলে যায় শরিল,গবাদিপশু পানি খেয়ে হচ্ছে নানা রোগবালাই, বর্জ্যের কারণে ফসলি জমিতেও চাষ বাস নষ্ট হচ্ছে মিলের মালিককে একাধিকবার বলার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় : নেত্রকোনা সদর উপজেলা ৪নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ফরিদপুর হরিয়াকালি রাস্তার পাশে বেশ কয়েক বছর ধরে গড়ে উঠেছে কালিদাস ও ভুইঁয়া অটো রাইস মিল
রাইস মিলের ধোয়া ও শব্দে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ।

কয়েক বছর আগেও নদীর পানি দিয়ে তাঁরা গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতেন। এ নদীতে প্রচুর মাছও হতো বর্তমানে রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ দিয়ে খালে মিলের পানি নামছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ওই মিলের দূষিত পানি খালে মিশছে কয়েক কিলোমিটার পানি কালো হয়ে আছে। এত কোন ফসলও করা যায়না। দূষণ ও দুর্গন্ধের কারণে এখন খালের পানি ব্যবহার করা যায় না।

এই বিষয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন : বিষয়টি আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News