সন্ধ্যা প্রায় ছয়টা হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ, চারিদিকে চেচামেচির আওয়াজ, শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়, বিজলীর আগুনে পুড়ে গেল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাজার পাড়া এলাকার বালার ছিড়া মোড়ের এক গালামালের দোকান।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই বাজারের পাশে মশিউর রহমান ইন্টুর গালামালের দোকান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়রা দমকল বাহিনীকে খবর দেন। পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজেও হাত লাগান তাঁরা। যদিও দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন নিভিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
প্রতিদিনের ন্যায় বিকালে দোকান খুলে কাস্টমারদের সেবা দেন ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক মশিউর রহমান ইন্টু। হঠাৎ পশ্চিম আকাশে মেঘ-বাতাস দেখে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পথচারীদের চেচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে দোকান আগুন দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় লোকজন সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে ফোন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে। আগুন নেভানোর শেষের দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে হাজির হন।
মশিউর রহমান ইন্টু বলেন, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আমি ইফাদ গ্রুপ ও প্রাইম কসমেটিকস (টিকে গ্রুপ) ডিলারসিপ নিয়ে ব্যাবসা করে আমার সাত সদস্যের পরিবারের ভরনপোষণ চালিয়ে আসছি। বিজলীর আঘাতে আমার দোকান পুড়ে যাওয়ায় আমি দিশেহারা। দোকানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল। এখন আমি কিভাবে লোন শোধ করবো আর পরিবারের ভরনপোষণ চালাবো ভেবে পাচ্ছি না। সরকারি কোন অনুদান পেল আপাতত পরিবারের ভরনপোষণ চালাতে পারবো।
স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক বলেন, অনেক টাকা লোন করে ছেলেটা দোকান করেছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগে দোকানের মালামাল পুড়ে যাওয়াতে ছেলেটি আবারও অসহায় হয়ে পড়ল।
দোকান পুড়ে যাওয়ার সংবাদ শুনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই বান টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
Leave a Reply