তিব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ট জন জীবণ, একদিকে তিব্র গরম অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে যেমন ক্ষতি হচ্ছে দৈনন্দিন কাজ কর্মে তেনি ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনার ও ।
তেমনি এক চিত্র নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌর শহরের দিঘদাইর আমারবাগ এলাকার জামিয়া ইসলামিয়া হফিজিয়া মাদ্রাসার। পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর এই মাদ্রাসায় বিদ্যুতের নেই কোন বিকল্প ব্যাবস্থা। রাতে বিদ্যুত না থাকলে বাধ্য হয়ে মাদ্রাসার খোলা মাঠে সৌর বিদ্যুতের লেম্পপোষ্টের আলোতে পড়তে হয় তাদের। কিছু শিক্ষার্থী লেম্পপোষ্টের নীছে পড়াশোনা করলেও বাকিদের পড়া থাকে বন্ধ।
শিক্ষর্থীদের দাবি আরও কয়েকটা সৌর লেম্পপোষ্ট থাকলে বিদ্যুৎ না থাকলেও তারা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারত। সরকারের কাছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি আরও কয়েকটি সৌর লেম্পপোষ্টের। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
জেলার কেন্দুয়া পৌর শহরে দিঘদাইর গ্রাামের আলহাজ দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল ২০০১ সালে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে তার নিজ ১০০ শতাংশ জমির মধ্যে জামিয়া ইসালামীয়া হাফিজি মাদ্রাসা গড়ে তুলেন। শুরুতে শিক্ষার্থী কম থাকলেও বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে আবাসিক ৫৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এই ৫৩০ জন শিক্ষার্থীর পড়াশোর জন্য রয়েছে ১টি তিন তলা বিল্ডিংসহ আরও ৬টি হাফ বিল্ডিং ।
শিক্ষকও কর্মচারি রয়েছেন ২৪ জন। মাদ্রাসাটিতে নুরানী,নজেরা,হিফজ,কিতাব বিভাগ ও জালালাইন জামাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া হয়। বর্তানে বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় ঘন ঘন লোড শেডিং ও তিব্র তাপদাহের কারণে রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা মাঠে সৌর লেম্পপোষ্টে পড়াশো করে। একটি লেম্পপোষ্টের আলোতে ১০০ জনের বেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও বাকিরা করতে পারে না পড়াশোনা।শিক্ষার্থীদের দাবি আরও কয়েকটা লেম্পপেষ্টের।
মাদ্রাসাটির শিক্ষকমুফতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও সুলতান নাসির উদ্দিন জানান,রাতের বেলাতেই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপযোক্ত সময়, এ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সমস্যা হয়। তাই কিছু শিক্ষার্থীরা ক্লাস রোম ছেড়ে সৌর পেনেলের আলোতে পড়াশোনা করে। সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করে তারা আরও বলেন সরকার যদি আমাদের মাদ্রাসায় আরও অন্তত তিনটি সৌর বিদ্যুৎ পেনেলের ব্যাবস্থা করে দিতেন তাহলে বিদ্যুৎ না থাকা সময়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশো চালিয়ে যেতে পারত।
বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের কারণে খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি নন জেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা।মোহাম্মদ আব্দুল গফুর। তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলতে পারবনা। বিদ্যুৎ সমস্যার কথা বল্লে সরকারের বিরুদ্বে কথা হবে,সৌর প্যানেলের ব্যাবস্থা করে শিক্ষার্থীদের নির্বিগ্নে পড়াশোনার সুযোগ করবে সরকার,এমনটিই প্রত্যাশা কেন্দুয়াবাসির
Leave a Reply