আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মেয়র-কাউন্সিলর পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।
আর এ কার্যক্রম অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল কার্যক্রমের সময় আমাদের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছে এবং এখন আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এর পাশাপাশি নির্বাচনকালীন তিন দিনের জন্য ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবে এবং অতিরিক্ত আরও ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট বিজিবির সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এখানে সাত প্লাটুন বিজিবি নির্বাচন কমিশন থেকে মোতায়েনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমরা আরও অতিরিক্ত তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য চিঠি দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা অনেক ভালো রয়েছে এবং এ অবস্থাটি শেষ সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। আশা করি, উৎসমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিছুদিন আগে আমাদের সঙ্গে সভা করে গেছেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের সচিবসহ কর্মকর্তারা ছিলেন। যারা আমাদের খুব সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আমরা একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। পরিপত্র অনুযায়ী যে পরিমাণ ফোর্স দেওয়া হয়েছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তার থেকে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কেন্দ্রে চারজন ফোর্স থাকবে। তবে কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজনের নিরীক্ষায় এর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৪২টি কেন্দ্রে যেখানে নারী ভোটার রয়েছে, সেখানে আমরা নারী পুলিশ সদস্য দিচ্ছি। মহিলা কেন্দ্রে নারী আনসার সদস্যদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
এ ছাড়া প্রতিটি স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও থাকবে। অপরদিকে পরিপত্রে আমাদের প্রায় সাত প্লাটুন বিজিবি থাকার কথা বলা হয়েছে, যারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। তারা হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই চলে আসবে এবং কীভাবে কাজ করবে তার প্ল্যানিং করবে,এর বাইরে র্যাবের আলাদা একটি ফোর্স আমরা পাব।
মানুষের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন: এক কথায় ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে-নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা টোটালি রাখছি। এখানে কোনো অস্বচ্ছতা থাকবে না এবং কেউ আলাদা কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাবে না।
Leave a Reply