আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৫ আসনে আওয়ামীলীগের এক হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
আহমদ হোসেন নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। নেত্রকোনা-৫ আসনে বিভিন্ন মহল, সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে চলেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। পাশাপাশি এই আসনের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আহমদ হোসেনকে নিয়ে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে আহমদ ‘আতঙ্ক।
বিশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট ও সাধারণ জনগণের বিশেষ মতামতের ভিত্তিতে দেখা যায়, এই আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে অনায়াসে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে বলে জানান তারা।
তবে এ নিয়ে অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা, তাঁদের সমর্থক ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে খোলাখুলিভাবে কথা বলতে নারাজ। দলের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে এই প্রতিনিধিকে জানান, আহমদ হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে অতি পরিচিত হলেও তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে একেবারেই ম্যাজিক আকর্ষণ। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে নেত্রকোনা-৫ আসনটি রাজনৈকিভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে উপজেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয়।তাই আওয়ামী লীগকে ভেবেচিন্তে এই আসনে প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। এই আসনে আহমদ হোসেনকে মনোনয়ন দিলে অল্প সময়ে ভোটাররা তাঁকে সাদরে গ্রহণ করবে বলেও জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এতে দলের নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত না হয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করবে। দলীয় কার্যালয় বিমুখ নেতাকর্মীরা জানান, এই আসনে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে এই আসনে মনোনয়ন দিলে আমরা দলমত নির্বিশেষে সবাই মিলে কাজ করবো। এই আসনে বিগত তিনটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বতর্মান এমপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন। বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও তিনি এলাকায় ঘন ঘন যাতায়াত অব্যাহত রেখেছেন। ইউপি নির্বাচন থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ নির্বাচন, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও নেত্রকোনার কয়েকটি উপজেলায় আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তার বক্তৃতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে দলের নেতা এবং কর্মীদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই আসনের সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের অনুসারীরা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে আহমেদ হোসেনকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই উলেস্নখ করে তোরণ নির্মাণ করেছেন।
এই আসনে অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা দলে নিষ্ক্রিয় ও একসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে। বেড়েছে দলীয় কোন্দল। এই আসনে কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও কোন্দল মেটানো যায়নি। অনেকের ধারণা, দলীয় কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে আহমদ হোসেনকে নেত্রকোনা-৫ আসনে মনোনয়ন দিলে তা সফল হতে পারে।
আহমদ হোসেন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকা নেত্রকোনা-৫ আসনে মনোনয়ন চেয়ে আসছি। আমার এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটাররা আমাকেই প্রার্থী দেখতে চায়। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছি। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি বিশ্বাস করি নেত্রী নেত্রকোনা -৫ আসনে আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিবেন
Leave a Reply