নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামের
শামসুদ্দিন তার শ্বশুরের সম্পত্তির জন্য নিজ স্ত্রীকে ও অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৯ মে সোমবার দিবাগত রাতে আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকার সময় স্ত্রী রসুনা আক্তার কে ঘরের বাতি বন্ধ করে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে নির্যাতন চালায় স্বামী , স্ত্রী রসুনার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা তার ঘরে এসে দেখে সে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দেখতে পায় তারপর তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্ত্রী রসুনা আক্তারের সাথে কথা বললে জানা যায়, বিয়ের ২৩ বছরের পার হলেও আমার বাবার সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য আমাকে প্রতিনিয়তই অমানসিক অত্যাচার করে আসছে আমার স্বামী শামসুদ্দিন।
একমাত্র মাদ্রাসা পড়ুয়া সন্তান গণমাধ্যম কে জানান আমার মাকে প্রায় সময় মারধর করে আমার নানার সম্পদের জন্য । গতকাল রাত্রে আমার মাকে ঘরের বাতি বন্ধ করে রড দিয়ে বাড়ী শুরু করে পরে আমার মায়ের মাথা ফেটে যায়।
একই গ্রামের বাসিন্দা আলতু মিয়া (৭০) জানান রসুনা আমার সম্পর্কে ভাগ্নি হয় মৃত কালা মিয়ার মৃত্যু কালে তার দুই মেয়ে সন্তান রেখে যান।
তাদের মধ্যে রসুনা আক্তার একজন এই কালা মিয়ার সম্পদের জন্যই রসুনা আক্তার কে বারবার অত্যাচার এবং মানসিক নির্যাতন চালায় স্বামী শামসুদ্দিন,
এর আগে বেশ কয়েকবার নির্যাতন করলেও সামাজিকতা রক্ষার্থে আমরা দুইজনকে মিল করিয়ে দেই।
স্বামী শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ মুঠফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন গতকাল রাতে জমির ঝামেলার বিষয় নিয়ে আমাদের দুজনের একটু কথার কাটাকাটি হয়েছিল , এক পর্যায়ে আমি আমার স্ত্রীকে একটা থাপ্পর দিলে সে ঘরের লোহার দরজার উপর পড়ে গেলে তার মাথা ফেটে যায়।
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply