নেত্রকোণার পূর্বধলায় হিরন্নপুটি এলাকার আলেপ জান, স্বামী : মৃত আ: বারেক তার বন্ধকী জমির টাকা অস্বীকার করায় বিজ্ঞ আমলী আদালতের(পূর্বধলা,নেত্রকোণা) স্মরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার আসামীদ্বয় হলেন,যথাক্রমে মরিয়ম আক্তার (৪০) স্বামী:আ:জলিল,সাং-হিরন্নপুটি, মতিউর রহমান (২৮),পিতা: শামসুদ্দিন ওরফে চান মিয়া, সাং:রাঙ্গামাটিয়া, খালেক (৫০) পিতা : মৃত গুন্জুর আলী, সাং :কাপাসিয়া, সর্বথানা: পূর্বধলা। মামলার বিবরণী মতে,উক্ত মামলার আসামীদ্বয় ঠক,প্রতারক শ্রেণির লোকবটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,১ নং আসামী মরিয়ম আক্তার বাদী আলেপ জানের পুত্রবধূ। ২নং আসামি মতিউর রহমান নাত জামাই এবং ৩ নং আসামি খালেক নাত জামাইয়ের বন্ধু। উল্লেখ্য যে, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ইং শনিবার আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় বাদীর বসত বাড়িতে মরিয়ম আক্তার, মতিউর রহমান এবং খালেক ২৪ শতাংশ জমি বন্ধক দেয় আলেপ জানের নিকট এবং এ বাবদ ৮৫,০০০/(পঁচাশি হাজার) টাকা প্রদান করেন। কথা থাকে যে,উক্ত ২৪ শতাংশ জমি না বুঝিয়ে বন্ধকী জমি বাবদ প্রতি বৎসর ৭ মন ধান বাদীকে প্রদান করবে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ মন করে ধান ২ বৎসর যাবৎ পরিশোধ করে আসছে; কিন্তু ১ বৎসর যাবৎ কোন ধান টাকা পয়সা পরিশোধ করেন না।
উক্ত বিষয়ে বাদী আলেপজান বলেন,আমি জোর তাগিদ দিলে আমার উপর চড়াও হয় এবং বলে আমি জমি বন্ধক বাবদ কোন টাকা পয়সা গ্রহণ করি নাই মতিউর ও খালেক এবং তা অস্বীকার করেন। তিনি আরো জানান,বেশী বাড়াবাড়ি করলে বা টাকা পয়সা চাইলে ওরা আমাকে খুন করে গুম করার হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তি শালিস দরবারে মীমাংসা করতে পারেনি।
এর মধ্যে আবার আমার ছেলে ও নাতীদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে। তিনি প্রতারণার ও মিথ্যা মামলার সুবিচার দাবি করেন। বিবাদী মরিময় জানায়, তার শাশুড়ি আলেপাজান কে টাকা দিয়ে দিয়েছেন । উল্টো তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে দেবরা।এ নিয়ে আদালতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম মাজহারুল ইসলাম রানা বলেন, আলেপজান একজন ৮০ বছরেরর বৃদ্ধা তিনি আমাকে কান্নাকাটি করে বিযষয়টি জানালে তার পুত্রবধূ কে লোক মারফত কয়েক বার ডাকি কিন্তু সে আসেনি ওসি এবং ডেকে ছিল সেখানে ও আসেনি। ঐ মহিলা বদমাশ ইতুর টাইপের মহিলা ওর বিরুদ্ধে তিনি প্রত্যায়ন পত্র দিবে বলে জানান।
Leave a Reply