নেত্রকোনা সদর উপজেলায় শিক্ষকের মারধরে আহত হয়ে মোছাঃ চাঁদনী আক্তার (১০) নামে এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াইলপাড়া আব্বাস উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে চাঁদনী আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার তার গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন স্কুলের অন্য ছাত্রদের চিৎকার চেঁচামেচিতে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্কুল ছাত্রী চাঁদনী আক্তার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াইলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ জামাল মিয়ার মেয়ে ও ওয়াইলপাড়া আব্বাস উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুল ছাত্রী চাঁদনীর বাবা মোঃ জামাল মিয়া বলেন, বুধবার সকালে চাঁদনী স্কুলে যায়। দুপুরে হঠাৎ খবর আসে ভূট্টো মাষ্টার তার গলায় চেপে ধরে মেরেছে, আমরা তখন দৌড়াদৌড়ি করে স্কুলে গিয়ে দেখি চাঁদনী অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে, তখন আমরা তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করি। শরীরের গলা সহ বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাতের দাগ। কে পিটিয়েছে জানতে চাইলে স্কুল ছাত্রী চাঁদনী জানায়, দুপুরের দিকে শ্রেণিকক্ষে স্কুল শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার এসে পড়া ধরে, তখন থাকে পড়া দিতে বিলম্ব হওয়ায় আমার গলায় চাপ দিয়ে ধরে। একেই ক্লাসের অন্য এক শিক্ষার্থী জানায়, এই স্যার আমরা পড়া পাড়লেও মারে।
এই স্কুলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমাদের সহকারী শিক্ষক ভূট্টো মাষ্টার একজন বদমেজাজি শিক্ষক, আমরা প্রায়েই শুনি সে ছাত্রদের এভাবে মারে। এই ঘটনার পর চাদনীকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে চাইলে,আহত স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা এখনো কোনো অভিযোগ করি নাই, তবে অভিযোগ করবো।
চাঁদনীর সহপাঠী শাওন জানায়, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভূট্টো স্যার বেত নিয়ে আমাদের ক্লাসে ঢুকে চাদনীকে ৭/৮ টি আঘাত করেন। এবং তার গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরে। এবং সাথে সাথে চাঁদনী ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়ে যায়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, বিষয়টি সন্ধ্যার পর আমার কানে এসেছে। আগামীকাল স্কুলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। বিষয়টি আমি শুনেছি, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে এই স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply