বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

নেত্রকোনায় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ 

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
  • ৮৪ পঠিত

নেত্রকোণায় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দবিরুল ইসলাম এর ছেলে ফজলে রাব্বী (২৪) এর বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর সৎমা আকলিমা আক্তার (২০) বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ দায়ের করার তৃতীয় দিনেও থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেনি বলে জানান বাদীপক্ষ। এদিকে মামলা করলে ভুক্তভোগীকে খুন করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্ত রাব্বী ও তার পরিবার।

অভিযুক্ত ফজলে রাব্বী নেত্রকোণা সদরের মদনপুর ইউনিয়নের মনাং গ্রামের মোঃ দবিরুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় সিএনজি চালক। তার স্ত্রীরও ৮ মাস বয়সী এক শিশু সন্তান রয়েছে।

ভুক্তভোগী একই গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার মেয়ে। সে সদর উপজেলার সাজিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাবা রিপন মিয়া বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। ভুক্তভোগীর মা ২ বছর আগে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত রাব্বী ধর্ষিতা কে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। গত বুধবার (১৭ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা বাজারে যান এবং বিকেল চারটার দিকে তিনি বাসায় এসে রাব্বীকে তাদের ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে যেতে দেখেন।

অন্যদিকে ভুক্তভোগীকে বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার ডাক চিৎকারে রাব্বীর পরিবার ও আশেপাশের মহিলারা ছুটে আসেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান ও চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহে হস্তান্তর করে।পরে ময়মনসিংহের চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়াই চলে আসে ও ভয়ভীতি দেখান রাব্বি ও তার পরিবার।

ভুক্তভোগী জানান, আমার মা দুপুরে বাজারে যান। খালি ঘর দেখে কিছুক্ষণ পর কৌশলে ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দেয় রাব্বী। পরে চিৎকার করার চেষ্টা করলে সে মুখ চেপে ধরে এবং মায়ের মতো খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । এসময় কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। অভিযুক্ত রাব্বীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ভুক্তভোগী।

এদিকে অভিযুক্ত রাব্বী ও তার বাবা মা কে না পেলেও তার এক ফুফু শিল্পী আক্তার বলেন, আমার বাসা শম্ভুগঞ্জ,নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল‌ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় যখন ধর্ষিতা কে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায় এবং এর অনেকক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরে আসে,এরপর তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি এবং রাতে থেকে সকালে বাড়িতে ফিরে যায়। ডাক্তাররা জানায় কোন চাপ বা টেনশন থেকে অজ্ঞান হয়ে গেছে । এছাড়াও তিনি বলেন,যদি আমার ভাতিজা যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে তার উপযুক্ত বিচার আমরাও চাই।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News