বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামে রোদ-বৃষ্টিতে দিন কাটাছে “দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ” আর অক্ষম দম্পতির জীবন

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩
  • ১০১ পঠিত

ছবুরা বেগম” দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ” দেখতে পান না তিনি। একসময় ঠিকই দেখতেন কিন্তু সন্তান জন্মের পর আস্তে আস্তে নিভে যায় চোখের আলো। এখন তিনি অন্ধ। বিয়ে হয়েছিলো দিনমজুর শাহজামাল ইসলামের সাথে। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। শাহজামাল এক সময় কাজের সন্ধানে ছুটে চলতেন এক শহর থেকে আরেক শহর। কিন্তু হঠাৎ অঙ্গ বিকল (প্যারালাইসিস) হয়ে যায়।

অন্ধ আর অক্ষম দম্পতির জীবন এখন বিবর্ণ। বড় ছেলে লিটন বিয়ে করে সংসার পেতেছে আলাদাভাবে, অনটনের কারণে নেয় না মা-বাবার খবর। মা বাবা ছোট মেয়ে রুমানাকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করালেও পেটে ভাতের সংকটে পাঠ চুকেছে তার। আরেক ছেলে এরশাদুল এখনো ছোট।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়নের হাজীপাড়া মুদাফৎকালীকাপুর এলাকায় অন্যের জায়গায় ভাঙা ঘরে দিনাতিপাত করেন অন্ধজন ছবুরা বেগম আর তার শক্তি সামর্থহীন স্বামী শাহজামাল।

রাতে ভাঙা ঘরের চাল দিয়ে দেখা যায় আকাশ ও চাঁদ। খরায় দহন হয় দেহে। আর বর্ষায় ভিজে একাকার হয়।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছবুরা বেগম বলেন, কর্ম-হাজ করার হারিনে। বেডিডেক টেহার জন্যি পড়ানেহা করবার পারি নেই। পড়ানেহা বাদ দিয়ে দিছি। দুইডে ব্যাডা আছিল। বড়ডা আলদা হয়ে গেছে গা। বউয়ের কতা হনে আলদা হয়ে গেছে গা। ঘরে খাম নাই। আইতে তুফান আইছিলে ডরাই। ঘর কাপে, দেহেন না ভাঙাচোরা ঘর। আরেকটা সমস্যা মাইনসের জায়গায় থাকি,গাছ তলায় থাকি। স্বামী তো হাটপের পারে না।

প্রতিবেশী রোকসানা বেগম বলেন, আমরা গ্রামবাসিরাই ওদের কষ্ট দেখে বিভিন্ন সময় সহযোগীতা করি। তা না হলে আরও কষ্টে থাকতে হতো তাদের। একটি হুইল চেয়ার আর একটি থাকার মতো ঘর দিলে অনেকটা কষ্ট কমে যেতো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কথা বলে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিবো। আর এই সময় চর ডিজাইনের ঘর নেই। এখন ঘর দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News