সরকরি আমলাদের জন্য প্রশংসা করা কারো চোখে বেমানান মনে হলেও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালো হয় সাধারন মানুষের ও অসহায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে হয়, সেবার মান বাড়ে, ভোগান্তি কমে, তখনতো অকপটে বলাই যেতে পারে তিনি জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলা, জনহয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতিসহ অভিযোগের শেষ নেই জনগণের। তবে এর ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম, সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও রয়েছে। যারা লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজ প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলেন জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল। এদের মধ্যে চারিদিকে খাল বিল ও হাওর বেষ্টিত নেত্রকোনার এই অবহেলিত জনপদের পূর্বধলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম অন্যতম এমনটি বলছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছ থেকে সেবা নিতে আশা একাধিক নারী পুরুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কাছে সেবা নিয়ে ফিরে যাওযার সময় এই প্রতিবেদকের কাছে এমন মন্তব্য করেন সাধারন সেবা প্রার্থীরা।ধলামূল গাঁও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বধলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কাজে যোগদানের পর থেকে তুলনা মূলক ভাবে অনেক কাজ হয়েছে, সততা আর অদম্য কর্মস্পৃহা দিয়ে জয় করে নিয়েছেন পূর্বধলাবাসীর মন। ফলে এই এলাকার সাধারণ মানুষের এখন জনদূর্ভোগ ও ভোগান্তি নেই বললেই চলে। খলিশাউড় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সকল ইউনিয়নের সব এলাকায় তার অবাধ বিচরণ। এর মধ্যে জনবান্ধব ও সেবাবান্ধব সাংবাদিক বান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
পূর্বধলা সচেতন মহলের রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার দরিদ্র, অসহায়, দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে,গণমাধ্যম কর্মী, ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে তিনি তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেন এবং মনোযোগ সহকারে শোনেন তাদের অসহায় মানুষের কষ্টের কথা। সমাধান করেন তাদের সমস্যা। এমন দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হন এই মানবিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। জানা যায়, তিনি পূর্বধলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পুর্বে তিনি জেলার বারহাট্টা, খালিয়াজুরী ও কেন্দুয়ায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি বরিশাল জেলার এক সমভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি পূর্বধলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কেউ যেন গৃহহীন না থাকে, সেই লক্ষ্যেও দৃঢ় চিত্তে কাজ করছেন এই কর্মকর্তা। যোগদান করেই মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। নির্মাণে মানসম্মত উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেননি তিনি। তাছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন কাজের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জনগণ সেবা পাচ্ছেন ভোগান্তি ছাড়া। অধ্যক্ষ আদ্রিশ আদিত্য মন্ডল বলেন, মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সে নয়। এ মূলমন্ত্রকে মনে প্রাণে লালন করে নিজ দায়িত্বের বাইরেও অনেক কাজ করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। দিন-রাত ধরেই চলছে তার এসব মানবিক কার্যক্রম। দেশের প্রতিটি উপজেলায় এমন একজন করে সৎ, উদ্যমী, আদর্শিক ও মানবিক, জনবান্ধব দেশপ্রেমিক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উদয় হোক, যার বদান্যতায় বদলে যাবে সেই অঞ্চলের সেবার দৃশ্যপট, ফিরে পাবে মানুষ তার নাগরিক অধিকার। আর এভাবেই এমন মানবিক ও কর্মঠ কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় আগামী দিনগুলোতে গোটা দেশটাই হয়ে উঠুক এক নির্ভেজাল সেবার মঞ্চ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, খাল বিল বেষ্ঠিত এই উপজেলাকে একটি আধুনিক উন্নত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এটি আমার নৈতিক দায়িত্ব। স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য বীর প্রতীক ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ও জেলা প্রশাসক মহোদয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা সব সময় আমার কাজে সহযোগিতা করছেন।তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজে কি পেলাম সেটা বড় কথা নয়, দেশ ও জাতীর জন্য আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি মাত্র
Leave a Reply