নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের ইমরান ২০১৩ সালের প্রথমে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কাজ শুরু করে। পর্যায়ক্রমে তার এখন মাসিক আয় কয়েক লাখ টাকা।
কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নিজ এলাকা ছাপিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । ১০ই মে বুধবার সরজমিনে তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শুটিং দেখার জন্য অনেক মানুষের ভিড় ।
প্রথমে শুরুর দিকটা যদিও তাদের প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের নেতিবাচক চিন্তাভাবনার সাথে যুদ্ধ করে আজকে লক্ষাধিক মানুষের হৃদয়ে জায়গা অর্জন করে নিয়েছেন তারা। তাদের প্রতিটা ভিডিও যেন প্রতিদিনের পারিবারিক ঘটনা নিয়ে লেখা। নেই কোন প্রশিক্ষণ তবু হচ্ছে লক্ষ্যাধিকের উপরে ভিউ ।
তাদের টিমে বর্তমানে কাজ করছেন মারুফ মিয়া (২২), বাপ্পি (১৫),জুনায়েদ (১৭), সুমন (২৫), গ্রামের সবাই ইমরানের সহযোগিতায় আজকে আত্মকর্মসংস্থান করে নিয়েছে। টিম সদস্য জুনাঈদ জানান আমরা অন্য কোথাও চাকরি করে সুযোগ সুবিধা পেতাম না যেটা ইমরান ভাইয়ের সাথে কাজ করে পাই।
ইমরানের পিতা খাইরুল ইসলাম জানান আমার রড় ছেলে ইমরান অনলাইনে কাজের জন্য তাকে হাই স্কুলে ভর্তির পর একটি কম্পিউটার কিনে দেই সে প্রচুর অনলাইনে সময় ও শ্রম দিয়ে একদিন সফলতার শিখড়ে পৌঁছবে সেটা আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। দেশের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমার ছেলে আজকে সবার মনে জায়গা করে নিল।
মাতা আঙ্গুরা খাতুন জানান প্রথমে আমি ভেবেছিলাম ভিডিও করে কি কাজ হবে অযথা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু না। আর এখন আমি আমার বড় সন্তান ইমরান ও সুমাইয়াকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Leave a Reply