নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হিরন পরিবহনের বাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস,ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মত অপরাধ করে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে ক্ষতি সাধন করায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৯ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য এই বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলায় বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মো.রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ ১২০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন:
১। আবু চান, পিতা- মৃত আরফান মিয়া, গ্রাম- চিথোলিয়া ২। মো: রতন মিয়া, পিতা- লাল চান, গ্রাম- সেহড়া এবং ৩। মামুন মিয়া, পিতা- আবুল হাসেম, গ্রাম- দইলা ৪। উজ্জ্বল মিয়া, পিতা- হাবিবুর রহমান, গ্রাম- সাগুলি ৫। জিয়াউল হক, পিতা-আতাবুর রহমান,গ্রাম- সাগুলি ৬। আনারুল, পিতা- মৃত-আব্দুল জলিল, গ্রাম-আইতর ৭। সেলিম মিয়া, পিতা-মৃত ওয়াজেদ আলী, রামপুর ৮। শামসুল ইসলাম তমাল পিতা- হাজি তফাজ্জল হোসেন গ্রাম-রামপুর ৯। জানু মিয়া, পিতা-মৃত ফসর আলী, গ্রাম- রামপুর।
উল্লেখ গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে কেন্দুয়া থানা সাব ইন্সপেক্টর দেবাশীষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে এমামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের বরাতে জানা যায়: কেন্দুয়া- মাসকা রোডে গত বুধবার (১নভেম্বর) রাত ২.৪৫ মিনিট ঘটিকায় কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর সাকিনস্থ নতুন বাসস্ট্যান্ডের রাস্তার পার্শে দাঁড়িয়ে থাকা বাস (ঢাকা মেট্রো- ব ১৪৮০৯৬) এর উপর দাহ্য পদার্থ দ্বারা অগ্নিসংযোগ করে, তখন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা দেবাশীষ চন্দ্র দত্ত তাৎক্ষণিক কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.এনামুল হককে অবহিত করলে তিনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে আসিলে তার আগেই বিএনপির উশৃংখল নেতা কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং সাথে সাথেই কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আসলে তাদেরকে নিয়ে আমরা বাসের আগুন নিভাতে সক্ষম হই।
কেন্দুয়া থানার পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এমামুল হক মামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে আসামীকেই নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply