নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর কাশেম আকন্দ হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়নি ১৮ বছরেও,এতে হতাশ তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের লোকজন।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের তুলাপট্রি এলাকায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে লগি-বৈঠার মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের রামদার কুপে গুরুতর আহত হন মীর কাশেম।
পরদিন রাতে রাজধানীর এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ৩০ অক্টোবর তাকে উপজেলার নাকডরা গ্রামে দাফন করা হয়। সেই থেকে এদিনটিকে মীর কাশেম আকন্দ হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। প্রতিবছর এদিনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। দোয়া ও আলোচনা সভা করে।
ওই ঘটনায় মীর কাশেমের ছোট ভাই এবিএম গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে ১ নভেম্বর বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর ২০০৭ সালের ৫ নভেম্বর মামলাটি দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর হয়।
২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য নেত্রকোনা অতিরিক্ত দায়রা জজ (১ম) আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে মাঝপথে মামলার গতি হারায়। তাই ১৮ বছর কেটে গেলেও মামলা এখন কোনো পর্যায়ে আছে জানেন না বাদী নিজেও।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এবিএম গোলাম রব্বানী বলেন: মামলাটা এক পর্যায়ে ঢাকা জজকোর্টে চলে যায়। করোনার আগে ২০১৯ সালে আমি সেখানে গিয়ে সাক্ষী দিয়েছি পরে সেখান থেকে নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদলতে প্রথম ফেরত এসেছে এরপর কি হয়েছে তিনি জানেন না। মামলার ফাইলটি ঢাকায় আইনজীবীর কাছে রয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।
নেত্রকোনা জেলা দায়রা জজ আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে:২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল ১৮৪/০৭ দায়রা নম্বর মামলাটি অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয় এরপর কি হয়েছে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন: চলমান মামলার তালিকায় এই মামলাটি নেই। নথি আছে হয়তো,খুঁজে বের করতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের পিপি ইফতেখার উদ্দিন মাসুদ বলেন:এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা মামলাটি কি অবস্থায় আছে জানা নেই মামলাটির বিষয়ে খোঁজ নেব।
নিহত মীর কাশেম আকন্দের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার শান্তা বর্তমানে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন: মীর কাশেম আওয়ামী লীগের জন্য জীবন দিয়েছে শেখ হাসিনার ডাকে সেদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গিয়ে বিএনপি সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রাণ দিয়েছেন তিনি।আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিচারের জন্য আওয়ামী নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।কিন্তু আমার স্বামী হত্যার বিচার আজও পেলাম না এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে।
Leave a Reply