নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বিয়ের প্রলোভনে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় রাসেল মিয়া (৩৮) নামের ব্যক্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়,বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম।
গ্রেফতার রাসেল মিয়া কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে। সে বিবাহিত যুবক। তার দুই সন্তান ও এক স্ত্রী রয়েছে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুনেব খাঁন জানান: ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গ্রেফতার একমাত্র রাসেল মিয়াকে আসামি করে নেত্রকোনা জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিচারকের নির্দেশে ২৯ জুলাই কলমাকান্দা থানায় একটি ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নথিভূক্ত করা হয়। এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে: ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীর ডিভোর্স হওয়ার পর একই এলাকার রাসেল মিয়া সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন ওই নারী। তার বাসায় যাতায়াত ছিল রাসেলের।
গত ঈদুল আযহার উপলক্ষে পোষাক কারখানা বন্ধ থাকায় ঈদের একদিন আগে গাজীপুর থেকে কলমাকান্দায় আসেন ওই নারী। ওইদিন রাতে তার থাকার ঘরে ঢুকে তাকে বিয়ের প্রলোভনসহ ফুঁসলিয়ে ও প্রাণনাশের ভয় ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আপত্তিকর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নেয় রাসেল। একই সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলে সে আপত্তিকর ছবি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাসেলের সঙ্গে একাধিকবার দৈহিক মেলামেশা করতে বাধ্য করে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান: মামলা করার পর থেকে রাসেল মিয়া পলাতক ছিলেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়
Leave a Reply