সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে,এরআগে রোববার দুপুরে তাদের পৌরশহরের দৌলতপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।তবে এ চক্রের মূল হোতা মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক বার্ত্তাকোনা গ্রামের ফজল হকের ছেলে আ.রব (৩২) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় : গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বড়কাশিয়া গ্রামের চান্দু মিয়ার মিশুক অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। খুঁজতে গিয়ে রোববার সকালে পৌরশহরের খাদ্য গুদামের পূর্বদিকে সেতুর কাছে থাকা মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের সামনে ব্যাটারি বিহীন মিশুকটি দেখতে পান চান্দু।
পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে এক কোণে মিশুকের চারটি ব্যাটারি পায়। দোকানের কর্মচারী আপন চৌধুরি ওই ব্যাটারিগুলো চান্দুর বলে স্বীকার করে। ব্যাটারি ক্রয়ের সময় আপন উপস্থিত ছিল বলেও জানায়। পরে আপনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সজিব ও মুরাদকে আটক করে পুলিশ। সেইসাথে মিশুক অটোরিকশা ও চারটি ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়।
তবে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক আ. রব পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় চান্দু মিয়া বাদী হয়ে আটক তিনজন সহ মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক বার্ত্তাকোনা গ্রামের ফজল হকের ছেলে আ. রব (৩২) বড়কাশিয়া গ্রামের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জনি মিয়া (১৯) ও বড় বেথাম গ্রামের ইঞ্জিল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়াকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়: মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক আ. রব এক সময় অটোরিকশা চালাতেন। চুরির মালামাল ক্রয় করে অল্প সময়ে তিনি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিুকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন: আটক তিন জনকে মামলায় গ্রেপ্তা দেখিয়ে সামবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply