এই গরমে গ্রামের শিশুরা একটু প্রশান্তি আশায় উদোম গায়ে খোলা জায়গায় ছোটাছুটি করছে,দৌড়াদৌড়ি করা তিন চার জন শফিক, বাবু, আদনান ও আনিকা নামে শিশুদের বললে তাদের মধ্যে আদনান বলে , স্যার শরীর জ্বালা পোড়া করতেছে।,,
বিদ্যুত এই যায় এই আসে, অত্যাধিক তাপদাহে ঘরে ঠিকা যাচ্ছে না। কিন্তু কি করব একটু প্রশান্তির আশায় গাছে নীচে ছায়া জায়গা খুজছি।
আজ বুধবার দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পৌরসভার শাহাপাড়া এলাকায় সরেজমিনে কথা বলার সময় শিশুরা এ কথাগুলি বলছে।
অপরদিকে : কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে রাজমিস্ত্রী বাবুল মিয়ার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গরম কেমন পড়ছে, তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এটা তো ধনী-গরিবের জন্য আলাদা হয় না। তারপরও যাদের এসি আছে তারা শান্তিতে থাকতে পারে, আর আমাদের মতো গরিবের এই গরমের মধ্যেই কষ্ট করেও কাজ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, গরমে শুধু যে কষ্ট হচ্ছে তা নয়, আয়-রোজগারও কমেছে। একদিকে গরমের কারণে বেশিক্ষন কাজ করতে পারছি না বলে তিনি জানান।
বাসস্ট্যান্ড মডেল স্কুল সংলগ্ন ফল ব্যবসায়ী স্বপন ইসলাম বলেন, কষ্টের তো শেষ নেই। কিন্তু পেট চালাতে হলে রোদ হোক বা বৃষ্টি, গরম হোক বা শীত, আমাদেরকে ব্যবসা নিয়ে বসতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শরীফুজ্জামান জানান, গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার জরুরি বিভাগ থেকে ৩৩ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। গরমে মূলত ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে প্রেসারের রোগীদেরও সমস্যা দেখা দেয়। তাই তিনি ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার না খাওয়ার জন্য সকলকে পরামর্শ দেন এবং বেশি করে বিশুদ্ধ পানি ও ফলমূল খেতে বলেন।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি কেন্দুয়া এরিয়া অফিসের ডিজিএম মোঃ মজিবুর রহমান বলেন : অত্যাধিক তাপমাত্রা কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাঝে মাঝে লোডশেডিং মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করতে হচ্ছে বলে তিনি জানা।
Leave a Reply