পুরানো চিত্র পেছনে ফেলে, নতুন রূপে সেজেছে নেত্রকোনা জেলা পাবলিক হল। জেলা শহরে কোনো অডিটরিয়াম না থাকায়, তাই সরকারি বেসরকারি সকল প্রোগ্রামের এক মাত্র সম্বল জেলা পাবলিক হল, সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে পুরোনো চিত্রকে পেছনে ফেলে নতুন রূপে রংয়ের তুলিতে অনন্য সাজে সাজানো হয়েছে। তাতে আকর্ষণ বেড়েছে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভার সামনে এই পাবলিক হলটি রয়েছে।তার বিপরীতে রয়েছে জেলা প্রেসক্লাব।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনার আদলে জেলা পাবলিক হলটি তৈরি করা হয়েছে, এই এলাকায় আরও রয়েছে, নেত্রকোনা পৌর ভবন, জেলা প্রেসক্লাব, জেলা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের বাস ভবন ইত্যাদি। শুধু এতেই শেষ নয়,কুরপাড় এলাকায় রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা সার্কিট হাউস,ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা জজ আদালত ভবন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা সার্কিট হাউস ও সেজেছে নতুন রূপে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের নেত্রকোনা শহর এখন সেজেছে নতুন রূপে,‘জেলা পাবলিক হল, জেলা সার্কিট হাউস, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, এখন আর চেনায় যায় না, মনে হয় নতুন কোনো শহরে এসেছি।এ জেলায় রয়েছে বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সকল স্থাপনার নিদর্শন। এগুলোকে আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা-রংয়ে সাজানোর দাবি জানান তিনি। তাছাড়া এ জেলার মানুষ দেখতে পাবেন বাংলার চিরাচরিত শান্ত-সৌম্য প্রাকৃতিক নিসর্গ। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রয়েছে সবুজের সমারোহ।
একই সাথে সকল বয়সিদের চিত্তবিনোদনের জন্য আছে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, সময়ের সাথে সাথে আরো আধুনিকতর করা হচ্ছে নেত্রকোনা জেলা শহরকে। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আছে লেকের স্বচ্ছ জলে কৃত্রিম ফোয়ারার অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন জলকেলি। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখ ভাগে রয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টিত আড়াই একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত সুব্যবস্থা।
মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, জেলা পাবলিক হলে রয়েছে আধুনিক কমিউনিটি হল। যেখানে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আয়োজন করা যায় সেমিনারসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ আয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে, নববর্ষে, নবান্নে, বসন্তের আগমনী দিনে, ভালোবাসা দিবসে আয়োজন করা হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এই হলে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমি শুধু চেষ্টা করেছি, মন্ত্রী মহোদয়,সহ সবাই এই কাজে আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
Leave a Reply