বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারদিকে আবর্জনার স্তূপ দুর্ভোগে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা 

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩
  • ১০৩ পঠিত

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ বিভাগের সামনের সিঁড়ির নিচে আবর্জনার ভাগাড়,

একশ’ শয্যার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পঞ্চাশ শয্যার চিকিৎসাসেবাও নেই।কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। চারদিকে আবর্জনা, ময়লার স্তূপ। শৌচাগারগুলো নোংরা আর অপরিচ্ছন্ন, ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

রোগীরা জানান, হাত-মুখ ধোয়ার বেসিন নোংরা, পানির কল নষ্ট। প্রতিটি টয়লেটের ভেতরের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। সিঁড়ির নিচে হাসপাতালের বর্জ্যরে স্তূপ দেখা গেছে। ওই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে শতাধিকের ওপরে রোগী আসে। একজন রোগীর সঙ্গে আরও অন্তত ৩-৪ আত্মীয়স্বজন আসেন। পাশাপাশি বহির্বিভাগেও অনেক রোগী সেবা নেন।

শনিবার (২০ মে) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফ্লোর, করিডোর, টয়লেট নোংরা। ওই হাসপাতালের ব্লাডব্যাংকের সামনে দরজা বন্ধ করে ময়লার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। যক্ষ্মা ও কুষ্ঠ বিভাগের সামনে সিঁড়ির নিচে ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। নারী ওর্ডায়ের কোনো শৌচাগারেই সাবান, টিস্যু বা স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা নেই। বহির্বিভাগের শৌচাগারের অবস্থা আরও শোচনীয়। টয়লেটের উপরিভাগে মলমূত্র জমে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে। বেসিনগুলোতে নেই সাবান বা টিস্যু। জরুরি বিভাগের নিচতলার টিকিটকক্ষের সামনের প্রতিবন্ধী শৌচাগারও তালাবন্ধ।

মহিলা ওয়ার্ডের সামনের ফ্লোরে থেকে চিকিৎসা নেওয়া জৈনপুর গ্রামের রুমা আক্তার বলেন, তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এখন পর্যন্ত চার আনার ওষুধও পাইনি। সব ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হয়। একই অভিযোগ করে পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া বানিয়াজোড়া গ্রামের বাসিন্দা সারা জাহান বলেন, স্যালাইনসহ সব ওষুধই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. পার্থ সরকার জানান, ভবন বড় হওয়ায় ও পরিচ্ছন্নকর্মী সংকটের কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ওষুধের কিছু সংকট রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যেই ওষুধ চলে আসবে বলে আশা করছি।

রোগীদের ওষুধ না পাওয়ার বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা খাতুন বলেন, দ্রুতই এর সমাধান করা হবে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় শৌচাগার বেশি ব্যবহৃত হয়, তখন তা এমনিতেই নোংরা হয়ে যায়। তবে টয়লেট গুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। আমি নিজে প্রতিদিন রাউন্ড দিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে দেখে আসি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
© All rights reserved © 2023 Daily Netrakona News