লাম্পি স্কিন বা বসন্ত রোগ যা একটি ছোঁয়াচে এবং ভাইরাসজনিত রোগ ।এটি গবাদিপশুর একধরনের চর্মরোগ। বিভিন্ন কীটপতঙ্গ যেমন মশা ও বিশেষ প্রজাতির মাছি, লালা খাবারে মশা, আক্রান্ত গাভির দুধেও এই ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত গরুতে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ থেকেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর সিমেনও (বীর্য) এই রোগের অন্যতম বাহন ইত্যাদির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।এ পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি।তবে সচেতনতা ও বিভিন্ন এন্ডিবাইটিক, কীটপতঙ্গ হতে আক্রান্ত গরুকে আলাদা মশারী টাঙিয়ে রাখতে হয়।
লাম্পির রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ হলো জ্বর। এরপর ত্বকের ওপরে বড় মাপের ফোঁড়া বা গোটা তৈরি হয়।
মানুষের জলবসন্ত হলে যেমন হয়, এটি অনেকটা তার কাছাকাছি। শরীরজুড়েই গোটা তৈরি হয়ে থাকে। কয়েক দিনের মাথায় সেগুলো ফেটে তরল নিঃসৃত হতে থাকে। এর কিছুদিন পরে ওই গোটা বা ঘা ধীরে ধীরে শুকায়।লাম্পি গবাদিপশুর ক্ষেত্রে এক রকম নয়।
এদিকে সরেজমিনে নেত্রকোনার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কৃষকের গোয়ালে ২-৩ টি গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আছে এবং ৪টি গরু মারা গিয়েছে বলে জানা যায়। তারা আরো বলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গেলে কোন সমাধান মিলছে না ,তাদের কেউ বলছেন টিকা এখনো তৈরি হয়নি,আবার কেউ বলছেন টিকা নেই।
নেত্রকোনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলছেন, নেত্রকোনায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগের আক্রান্ত বেশি ।
তারা আমাদের কাছে না এসে পল্লী পশু চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে।এতে আক্রান্ত গবাদিপশুটি সঠিক চিকিৎসা পায় না। এই রোগের চিকিৎসায় সরকারি ব্যবস্থা এখনো অপর্যাপ্ত। বেসরকারি পর্যায়ে বিদেশি টিকা আমদানি হচ্ছে।
তবে তুলনামূলক কম। বাজারে টিকার সংকটের মধ্যে ও গরুকে লাম্পি স্কিন রোগের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বাড়িতে , খামারে গিয়ে এ পর্যন্ত ৩-৪ শত গরুর টিকা দেওয়া হয়েছে এবং আর ও টিকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।এছাড়া এই টিকা দিতে হয় সুস্থ অবস্থায় অসুস্থ গরুকে এই টিকা দিলে কোন লাভ নেই। তাই লাম্পি রোগ প্রতিরোধের পরামর্শ ও সচেতন করা ছাড়া কোন সমাধান নেই বলেও জানান।
Leave a Reply